বিমানে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলে কালক্ষেপণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত বিমানে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়নি। তদন্ত কমিটির সদস্যরা বলছেন, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা লম্বা। এ জন্য প্রতিবেদন দিতে সময় লাগছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার এবং চলতি দায়িত্বে থাকা পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট) মো. নওসাদ হোসেন জানিয়েছেন, দু-এক দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

জানা গেছে, বিমানের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় খোদ নিয়োগ কমিটির এক সদস্য জড়িত। প্রশ্ন প্রণয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি কৌশলে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে নেন। পরে ফাঁস চক্রের অপর সদস্যদের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে তা যায় নির্দিষ্ট চাকরিপ্রার্থীদের কাছে। শতাধিক পরীক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে যায় প্রশ্নপত্র। এভাবে প্রশ্নপত্র বিক্রির মাধ্যমে নিয়োগ কমিটির ওই সদস্য প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। যদিও তাঁর নাম এখনও প্রকাশ করেননি তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা। এ ঘটনা তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের কমিটি করে। বিমানও একটি তদন্ত কমিটি করেছে।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিমানের ১০ কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা নিয়োগ কমিটির সদস্যসহ বিমানের ঊর্ধ্বতন বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কাজের সূত্রে যুক্ত।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. যাহিদ হোসেন বলেন, 'প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। স্বাধীনভাবে কাজ করছে তদন্ত কমিটি সদস্যরা। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিও কাজ করছে।'