বাংলাদেশকে ১০ কোটির বেশি করোনার টিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি টিকা অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে যত করোনার টিকা অনুদান পেয়েছে তার ৭০ শতাংশের বেশি মার্কিন অনুদান।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বাংলাদেশকে ১০ কোটির বেশি করোনার টিকা অনুদান উপলক্ষে আজ বুধবার নারায়ণগঞ্জের কালেক্টরেট প্রিপারেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে টিকাদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি। 

পিটার হাস বলেন, এই মাইলফলক দুই দেশের মধ্যকার শক্তিশালী অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে। বাংলাদেশ প্রায় ৭৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে দুর্দান্ত অগ্রগতি দেখিয়েছে, এটি তার একটি অংশ মাত্র। এটি অসাধারণ অর্জন। বাংলাদেশের শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মহামারি থেকে রক্ষায় যারা জড়িত ছিলেন তাদের সবাইকে আমি অভিনন্দন জানাই'

মহামরি শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় দেশের ৬৪টি জেলায় নিরাপদে টিকাদানের লক্ষে ৫০ হাজার স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৭ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের জন্য ১৮টি ফ্রিজার ভ্যান, ৭৫০টি ফ্রিজার ইউনিট ও ৮ হাজার ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তায় অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান ১৪ কোটি ডলারের বেশি। বৈশ্বিকভাবে, কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে ৪০০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে আল্ট্রা-কোল্ড চেইন স্টোরেজ, পরিবহন এবং নিরাপদে করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সহায়তাও রয়েছে। এটি বিশ্বজুড়ে করোনা টিকার সমতাভিত্তিক প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বড় দাতা দেশে পরিণত করেছে।

বিষয় : করোনাভাইরাস করোনা টিকা অনুদান

মন্তব্য করুন