- বাংলাদেশ
- জনগণ ভালো করে জানে কারা প্রকৃত বন্ধু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জনগণ ভালো করে জানে কারা প্রকৃত বন্ধু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে টিসিবির পণ্য বিতরণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জনগণ ভালো করে জানে কারা প্রকৃত বন্ধু । কারা দেশ স্বাধীন করেছে, কারা দেশের উন্নয়ন করছে। তাই জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার সময় নেই। দেশের উন্নয়ন চলমান রাখতে আগামীতে নৌকায় ভোট দিতে হবে। বিএনপি জামায়াতের চক্রান্তের জালে মানুষ আর কোন দিন পা দেবে না।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ১৭৪২ জনকে টিসিবির পণ্য বিতরণ ও ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে একটি গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনাকালীন ও বন্যার সময় বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। তারা শুধু বড় বড় কথা বলতে পারেন। এখন একটা দুর্যোগ পুরো পৃথিবীতে চলছে, বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। বিএনপি জামায়েত নেতারা দুর্যোগ লাঘব করবে কি, তারা বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে।
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে ডেঙ্গু রোগ নতুন নয়, গত বছরও ডেঙ্গু ছিল, তার আগের বছর আরো বেশি ছিল। এবছর একটু বেশিই দেখা দিছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর,মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ গোটা এশিয়ার সব দেশেই ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বরং বাংলাদেশের চেয়ে ওই সব দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ।
তিনি আরও বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি হয়। তারপরও দুইশ'র মতো ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন। আগামীতে বৃষ্টি না হলে দেশের ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যাবে।
মন্ত্রী এ সময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবাইকে বাড়ির আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন রাখার আহ্বান জানান।
অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্স রোগীর জীবন বাঁচাতে অনেক ভূমিকা রাখে। সঠিক সময়ে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক কমে যায়। গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে সাড়ে সাত লাখ টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই অ্যাম্বুলন্সেটি গ্রামের সকল রাস্তা দিয়ে চলতে পারবে। এই ধরণের অ্যাম্বুলেন্সের উদ্যোগ প্রতিটি ইউনিয়নে নিলে স্বাস্থ্য সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। এই উদ্যোগ সফল হলে সারা দেশের এই ধরণের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন