বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কৃষি খামারি দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তার মাথার পেছনে ‘সমান কিছু’ দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রোববার সকালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মফিজ উদ্দিন প্রধান নিপুণ সমকালকে বলেন, ‘আমরা দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ করেছি। তার মাথার পেছনে সমান কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অনেকটা জায়গা ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া মাথায় স্বাভাবিকের তুলনায় কম জেল পাওয়া গেছে। তার বুকের দুই পাশেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করা হতে পারে।’

নিহত দুরন্ত বিপ্লবের ছোটভাই দুর্জয় সমকালকে বলেন, গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে মোহাম্মদপুরে মায়ের বাসায় যাওয়ার পথে আমার ভাই নিখোঁজ হন। আমরা ৯ নভেম্বর থানায় জিডি করি। গতকাল রাত ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ পাগলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে এসে ছবি দেখে ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করেছি।

নিহত দুরন্ত বিপ্লব (৫১) নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার ছোট ইলাশপুরের প্রয়াত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের ১৯৯৪-১৯৯৮ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের কৃষি সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন।

এর আগে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে শনিবার বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।