- বাংলাদেশ
- শিবালয়ে থামছে না যমুনার বালু তোলা
শিবালয়ে থামছে না যমুনার বালু তোলা

শিবালয়ের মালতী এলাকায় বসানো বালু তোলার ড্রেজার - সমকাল
বারবার অভিযান চালালেও মানিকগঞ্জের শিবালয়ের যমুনা নদী থেকে বালু তোলা থামছে না। এতে তীরবর্তী এলাকার জমিজমা, ঘরবাড়ি বর্ষায় ভাঙনের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও সপ্তাহখানেক ধরে নতুন করে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে জাফরগঞ্জ পর্যন্ত ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলছে প্রভাবশালীরা।
গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢালামালতীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলছেন মুন্না শেখ। এ ছাড়া ফেইচাধারা এলাকায় বসানো হয়েছে লুৎফর রহমানের ড্রেজারটি। আরও বেশ কয়েকটি দেখা গেছে। তাঁরা কেউই এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।
তবে ঢালামালতী এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারী টিপু শেখ বলেন, নদী থেকে বালু তোলার জন্য অনেককে 'ম্যানেজ' করতে হয় তাঁদের। কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে একই রকম দাবি করেন।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী। যে কারণে প্রশাসন অভিযানে গেলে কয়েক দিন বালু তোলা বন্ধ থাকে। সুযোগ বুঝে ফের শুরু হয় বালুর ব্যবসা। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে বালুদস্যু চক্রটি নদীর বালু বিক্রি করে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
ঢালা এলাকার নয়ন শেখ বলেন, কয়েকবার উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কিছু ড্রেজারের পাইপ কেটে দেয়। তবে রহস্যজনক কারণে আবারও বালুদস্যুরা সক্রিয় হয়ে পড়ে। নদী থেকে বালু তোলায় কৃষিজমি ও বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। তখন অনেককে ঘরবাড়িও সরিয়ে নিতে হয়।
এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিলেও বালুদস্যুরা প্রভাবশালী। যে কারণে ভয়ে প্রতিবাদও করতে পারেন না তাঁরা।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় ড্রেজারের পাইপ কয়েকবার ধ্বংস করা হয়েছে। আবার কেউ বালু উত্তোলন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন