খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যশস্য নিয়ে জনগণ আতঙ্কিত না হলে এবং অতিরিক্ত মজুত না করলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। খাদ্যপণ্য উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইরি ও বোরো মৌসুমের জন্য সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে মজুত রয়েছে পর্যাপ্ত খাদ্য। বেসরকারিভাবেও খাদ্যপণ্য আমদানি করা হচ্ছে। রোববার রাজধানীতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) কার্যালয়ে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানির জন্য 'হেলথ সার্টিফিকেট' প্রদান অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানকে পণ্যের স্বাস্থ্যমানের বিষয়ে সনদ দিয়েছে বিএফএসএ। এগুলো হলো ইএসএল বাংলাদেশ লিমিটেড ও ট্রাস্ট অ্যান্ড ট্রেড। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ আতঙ্কিত হয়ে তিন-চার গুণ বেশি পণ্য কিনে মজুত না করলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। দেশে নিরাপদ খাদ্যের অভাব রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের সার্টিফিকেট দিয়ে প্রমাণ করতে হচ্ছে রপ্তানির জন্য নিরাপদ খাদ্য দরকার। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সবার সচেতন হওয়া উচিত। দেশে সব খাদ্য নিরাপদ করতে পারলে এত সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে না। নিজেদের সুস্বাস্থ্য ও খাদ্যদ্রব্য রপ্তানির জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। যেন বাংলাদেশি পণ্যের নাম শুনলেই বিদেশিরা আমদানিতে আগ্রহী হয়।
অনুষ্ঠানে খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন খাদ্যপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সর্বজনস্বীকৃত স্বাস্থ্য সনদ দেওয়ার জন্য আস্থা তৈরির ওপর জোর দেন। সভাপতির বক্তব্যে বিএফএসএর চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, খাদ্যপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিএফএসএর স্বাস্থ্য সনদ দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
এর আগে এক কর্মশালায় নিরাপদ খাদ্য আইন ও বিধি-প্রবিধি সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফএসএর সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমদ। এতে নিরাপদ খাদ্য আইনের বিভিন্ন ধারা ও অধ্যায় নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে বিএফএসএর সদস্য আব্দুল আলীমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।