মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার করা মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ ১৫ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

সোমবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিলকিস আক্তার জামিন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। তবে আরও মামলা থাকায় তারা এখন মুক্তি পাচ্ছেন না।

জামিন পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- ছাত্র অধিকারের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, ছাত্র অধিকারের নেতা আরিফুল ইসলাম, তসলিম হোসাইন অভি, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, মামনুর রশিদ, এইচ এম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ ও রাকিব। আসামি পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী এরশাদ সিদ্দিকী, পারভেজ, বাসার ও হাবিবুর রহমান।

আইনজীবী এরশাদ সিদ্দিকী বলেন, নাজমুল হাসানসহ ১৫ জনের জামিন আদালত মঞ্জুর করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলায় জামিন শুনানি ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি সেদিন তাদের জামিন মঞ্জুর হবে। এদিন জামিন মঞ্জুর হলে তাদের মুক্তিতে আর বাধা থাকবে না।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে গত ৭ অক্টোবর ঢাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে আসামিরা কাউকে কিছু না জানিয়েই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে সমবেত হয়ে উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য ও স্লোগান দিতে থাকেন। আসামিরা তাদের বক্তব্যে সরকার, সরকার প্রধান ও বিভিন্ন মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। 

তখন ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করলে আসামিরা রড, হকিস্টিক, বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় আসামিরা সাড়ে ১০ হাজার টাকা চুরি করে নেন। 

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করেন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানার ও ফেস্টুন। এতে পণ্ড হয়ে যায় সমাবেশ। এ ঘটনায় ৮ অক্টোবর দুই নেতা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।