
ফাইল ছবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যশস্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আগামী বছর খাদ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে সরকার এমন আশঙ্কা করছে। তাই ২০২৩ সালের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ক্ষেত্রে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অন্য বিষয়গুলোতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। সরকার মনে করছে, আগামী বছরে বড় সংকটের আশঙ্কা থাকলেও সেটা মোকাবিলার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী বছরের সংকটের আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রিসভা বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে খাদ্য ব্যবস্থাপনা। খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। যতই খাদ্য আমদানির চেষ্টা থাকুক, এ সমস্যাটি থাকার আশঙ্কা আছে।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার বেড়ে যাওয়ার ফলে আমরা দুই থেকেই সমস্যায় পড়েছি। অর্থাৎ যেসব দেশ ঋণ নিয়ে কাজ করে বা যাদের আমদানি বেশি, তাদের দুই দিক থেকেই অসুবিধা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যখন টাকা দেওয়া হচ্ছে, তখন বেশি দিতে হচ্ছে, আবার যখন নেওয়া হচ্ছে, তখন কম পাওয়া যাচ্ছে। এ জন্য অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। একই সঙ্গে খাদ্য মজুতের বিষয়টি সব সময় ভালো অবস্থায় রাখার বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
অন্যদিকে বিদেশে যেন অদক্ষ শ্রমিক না পাঠিয়ে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো হয় সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রবাসী আয় বাড়ানোর জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রবাসীরা যেন খরচ ছাড়া ঝামেলাহীনভাবে তাদের টাকা বৈধ উপায়ে দেশে পাঠাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এর বাইরে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
জমি পতিত থাকলেই খাস নয় :এদিকে পতিত জমি নিয়ে গুজব রটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি, কেউ জমি না চাষ করলেই সেটা সরকার খাস করে নিতে পারবে না। খাস করার একটা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে।
মন্তব্য করুন