ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) গৃহীত পদক্ষেপ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেন।

শুনানিতে ডিএনসিসির আইনজীবীর উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, বাজেট আছে বলছেন, মশা তো নিধন করতে হবে। তাহলে মশা কেন নিধন করতে পারছেন না? বাস্তবতা হচ্ছে, ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। মশার কাছে হেরে গেছে।

২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি 'শাহজালাল বিমানবন্দর: মশার পরান বধিবে কে?' শিরোনামে ও একই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি 'ছেঁকে ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা' শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই বছরের ৩ মার্চ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১২ মার্চ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

পরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিমানবন্দরে মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। বেবিচক চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দিয়ে তা বাস্তবায়নের বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ মশা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ ও কার্যক্রম তুলে ধরে আদালতে আলাদা প্রতিবেদন দেয় ডিএনসিসি ও বেবিচক। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার নিকুঞ্জ ২ ও বিআরটিসি স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় মশার উৎস ও লার্ভার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে বেবিচকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইফুর রশীদ ও ডিএনসিসির পক্ষে আইনজীবী রিমি নাহরীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।