আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকা) বৈঠক ও সচিব সভা সচিবালয়ে হচ্ছে না। এ বৈঠক দুটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হবে। তবে বৈঠকের তারিখ ও সময় অপরিবর্তিত থাকছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

করোনাভাইরাস মহামারিসহ প্রায় তিন বছর পর প্রধানমন্ত্রী সশরীর সচিবালয়ে আসার কথা ছিল। জানতে চাইলে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দুইটি বৈঠক সচিবালয়ে হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

নিকার বৈঠকে ‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ নামে নতুন দুটি বিভাগ অনুমোনের কথা রয়েছে। এর মধ্যে বৃহত্তর ফরিদপুরের কয়েকটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা’ বিভাগ এবং কুমিল্লা ও আশপাশের জেলাগুলো নিয়ে হবে ‘মেঘনা’ বিভাগ।

নতুন এ দুটি বিভাগ হলে দেশে বিভাগের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টিতে। এর আগের সব বিভাগের নাম স্থানীয় শহরের নামে হলেও এবার প্রথমবারের মতো দুই নদীর নামে দুটি বিভাগ হতে যাচ্ছে।

এদিকে সচিব সভায় চলমান জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ১০টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত রাখা, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষির উৎপাদন বাড়াতে সারের যোগান নিশ্চিত করাসহ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করা এবং জ্বালানি সংকট সমাধানের বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পাচ্ছে।

২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কৃষির উৎপাদন বাড়াতে সারের যোগান নিশ্চিত করা এবং পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হবে সচিব কমিটিতে।

তৃতীয় নম্বর এজেন্ডায় জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চিতকরণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে সরকার ব্যয় সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ স্থগিত রেখেছে।

সচিব কমিটির এজেন্ডায় প্রয়োজনীয়তার নিরিখে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয় চার নম্বরে স্থান পেয়েছে। এছাড়া, সরকারি কাজে আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করার বিষয়ে আলোচনা হবে।

তাছাড়া সরকারি সেবা দানে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিষয়ে পর্যালোচনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং সুশাসন ও শুদ্ধাচার নিয়ে সচিবদের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।


এর আগে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সচিব সভা হয়েছিল গত বছরের ১৮ আগস্ট। তখন প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এতে অংশ নিয়েছিলেন।