- বাংলাদেশ
- শিক্ষার্থীরা পেল ৩৩ খেলার মাঠ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া
শিক্ষার্থীরা পেল ৩৩ খেলার মাঠ
৩ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
-samakal-6381e045603dc.jpg)
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নবুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলায় মেতেছে শিক্ষার্থীরা - সমকাল
'আগে বিদ্যালয়ে আসতাম আর ক্লাস করে বাড়ি চলে যেতাম। মাঠ না থাকায় খেলতে পারতাম না। এখন আমাদের খেলার মাঠ হয়েছে। তাই বন্ধুদের সঙ্গে মোরগ-লড়াই, ফুটবল, গোল্লাছুট, কানামাছি খেলতে পারি। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।'
ওপরের কথাগুলো বলছিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নবুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হৃদয় মণ্ডল। শুধু হৃদয়ই নয় পড়াশোনার পাশাপাশি খেলার পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় আনন্দিত উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৩৩টি বিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী।
রাখিলাবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আকাশ মণ্ডল বলে, আগে তাদের বিদ্যালয়ে মাঠ ছিল না। এখন মাঠ হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতে পারছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার ২০টি প্রাথমিক ও ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ তৈরি ও সম্প্রসারণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের ৩ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে এসব বাস্তবায়ন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
গোপালপুর রাখিলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিদাস বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়টির অবস্থান নিচু এলাকায়। সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ে পানি উঠত। এ ছাড়া মাঠ না থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারত না। মাঠ তৈরির পর এখন শিক্ষার্থীরা খেলাধুলাও করতে পারছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন ইউএনও একেএম হেদায়েতুল ইসলাম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের টাকায় এসব বিদ্যালয়ের মাঠ তৈরি ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেন। তিনি বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান ইউএনও মো. আল মামুন এই কাজ সম্পন্ন করেছেন। খেলার মাঠ পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত।
ইউএনও মো. আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলার মাঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে চান। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে পারলে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে। এতে তরুণ প্রজন্ম সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
মন্তব্য করুন