- বাংলাদেশ
- প্রতিবেদন তিন মাসের মধ্যে না দিলে দুদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি
প্রতিবেদন তিন মাসের মধ্যে না দিলে দুদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ৭৭ কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে মামলার তদন্ত তিন মাসের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাদের এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতেও বলা হয়েছে। প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে দুদকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন।
বেসিক ব্যাংকের অর্থ পাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে এই রায় দেওয়া হয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। জামিন আবেদনকারী মোহাম্মদ আলীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম আবুল হোসেন।
রায়ের পরে আইনজীবী এস এম আবুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট রায়ের কপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের সব মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া জামিন আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আলামত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মালয়েশিয়ায় আবেদন পাঠিয়েছে- এ তথ্য জানিয়ে গত সোমবার হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয় দুদক। ব্যাংকটির ৫৬ মামলার মধ্যে ১২ মামলার আসমি এর সাবেক কর্মকর্তা মোহম্মদ আলী। তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করলে তাঁর সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করা হয়। রুলে কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল রুলটি হাইকোর্ট খারিজ করে দেন।
এ মামলায় ৮২ জন ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন এমডি কাজী ফকরুল ইসলাম, ডিএমডি ফজলুস সোবহান, সাবেক ডিএমডি শেখ মঞ্জুর মোরশেদ, জিএম এ মোনায়েম খান, জিএম মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ ব্যাংকের ২৭ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা, প্রিন্সিপাল/প্রধান শাখা, দিলকুশা শাখা এবং শান্তিনগর শাখাসহ মোট চারটি শাখার ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়ে গুলশান থানায় ২৩টি, মতিঝিল থানায় ১২টি এবং পল্টন থানায় ২১টি মামলা করা হয়। মামলায় বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা ২৭ জন, ব্যবসায়ী ৮২ জন এবং বেসরকারি সার্ভেয়ার ১১ জনসহ মোট ১২০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আত্মসমর্পণ করেছেন একজন।
মন্তব্য করুন