- বাংলাদেশ
- কারাবন্দি বুশরাকে নিয়ে পরিবারে উদ্বেগ
কারাবন্দি বুশরাকে নিয়ে পরিবারে উদ্বেগ

ফাইল ছবি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আমাতুল্লাহ বুশরা এখন কারাবন্দি। তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা বলছেন, ফারদিন হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এখন পর্যন্ত তাঁর সংশ্নিষ্টতার ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য কোনো তথ্য-উপাত্ত তাঁরা পাননি। এদিকে বুশরার কারাবন্দি জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন তার পরিবার। দ্রুত জামিন না পেলে তাঁর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হবে।
বুশরার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আমরাও চাই ফারদিনের আসল খুনিদের বের করা হোক। তবে নিরপরাধ কেউ যাতে ফেঁসে না যায়। আমার মেয়েটি জেলে রয়েছে, কীভাবে বাবা হিসেবে ভালো থাকি! দ্রুত জামিন না পেলে তার তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা দেওয়া হবে না। ৪ ডিসেম্বর পরীক্ষা শুরু হবে।
বুশরার বাবা বলেন, কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। কবে তার জামিন হবে সেটা বারবার জানতে চেয়েছে। বুশরার সঙ্গে ফারদিনের কথাবার্তা হতো বিতর্ক নিয়ে। তারা ভাইবোনের মতো ছিল। মেসেঞ্জারে যোগাযোগ হতো। সন্দেহভাজন হিসেবে বুশরাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা বারবার নিষেধ করেছিলেন, তাকে যেন আসামি করা না হয়।
বুশরাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় তাঁর জড়িত থাকার কোনো তথ্য পায়নি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রামপুরা থানার পুলিশও জানায়, বুশরার সংশ্নিষ্টতার কোনো প্রমাণ হাতে নেই। এ ছাড়া ছায়া তদন্তকারী সংস্থাও জানিয়েছে, আলামত ও তথ্য-উপাত্ত দেখে মনে হয়েছে, বুশরা অপরাধী নন। তবে বুশরা জামিনে মুক্তি পেলে 'তদন্ত কাজে বিঘ্ন ও পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা' থাকবে তাই তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন জানিয়েছে ডিবি।
রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বাদীকে আমরা বারবার অনুরোধ করেছি বুশরাকে আসামি তালিকায় যেন রাখা না হয়। তদন্তে কিছু পেলে তাঁকে চার্জশিটভুক্ত আসামি করা যাবে।
৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরার বাসা থেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন ফারদিন। ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মেলে তাঁর লাশ।
মন্তব্য করুন