- বাংলাদেশ
- কাগজের আমদানি শুল্ক্ক প্রত্যাহার দাবি
কাগজের আমদানি শুল্ক্ক প্রত্যাহার দাবি

ফাইল ছবি
বাজারে কাগজের মূল্য বৃদ্ধিকে 'অস্বাভাবিক' আখ্যায়িত করে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতারা বলছেন, এর পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করছে। তারা মজুতদারি করছে। বাজারকে প্রভাবিত করে মুনাফা লুটছে। অবিলম্বে কাগজের দাম না কমালে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আগামী বইমেলায়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কাগজ আমদানিতে শুল্ক্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতারা এসব দাবি জানান। সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, ২০২১ সালে যেখানে ৮০ গ্রাম ডিডি অফসেট কাগজের দাম ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা রিম, এখন তার দাম ৩ হাজার টাকার বেশি। ১০০ গ্রামের একই কাগজের যেখানে ২০২১ সালে দাম ছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা রিম, এখন তার দাম ৪ হাজার ২০০ টাকা। অন্যদিকে, ২০২১ সালে যেখানে ২০ বাই ৩০ ইঞ্চি নিউজপ্রিন্ট ডিসি কাগজের রিম প্রতি দাম ছিল ৩৮০ টাকা, এখন তার দাম ১ হাজার টাকা। একই কাগজের ডিডি এর দাম ২০২১ সালে যেখানে ছিল ৪৪৫ টাকা রিম, এখন তার দাম ১ হাজার ১৮০ টাকা। তিনি বলেন, সরকার আগামী এক মাসের মধ্যে দেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৫ কোটি বই তুলে দেবে। এ ছাড়া একুশে বইমেলায় প্রকাশনার জন্যও অনেক কাগজের ব্যবহার হবে। সহজ শর্তে বিনা শুল্ক্কে অথবা স্বল্পশুল্ক্কে কাগজ আমদানি করা না গেলে বই বিতরণ ও বইমেলায় চরম অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে।
পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতারা বলেন, শতভাগ ভার্জিন পাল্প দিয়ে কাগজ উৎপাদন করলে তার দাম হবে ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। নিউজপ্রিন্ট কাগজের দাম বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। এখানে সিন্ডিকেট কাজ করছে।
অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম বলেন, কাগজের দাম না কমালে সৃজনশীল বই প্রকাশ কমার পাশাপাশি পাঠকও কমে যাবে।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল জানান, তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো কাগজ কিনবেন না। এ সময়ে এনসিটিবির পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য বইও ছাপাবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- সমস্যা সমাধানে সরকারি প্রতিনিধি, মিল মালিক, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতবিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ; কাগজ আমদানি শুল্ক্কমুক্ত ঘোষণা; কাগজকে রিসাইক্লিং কাজে ব্যবহারের ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখা; গুদামজাত কাগজ থাকলে তা স্বাভাবিক মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন এবং আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার ওসমান গণি।
মন্তব্য করুন