পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব বাধা অপসারণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে অতি দ্রুত সুনির্দিষ্ট সময় সূচিভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি। চুক্তি স্বাক্ষরকারী দল আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পরও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর স্বার্থে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি, যা দুঃখজনক।

শুক্রবার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন দেশের ৪১ বিশিষ্ট নাগরিক।

বুধবারের বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলোসহ পুরোপুরি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আশানুরূপ কোনো অগ্রগতিও নেই। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। এসব ধারার বাস্তবায়ন কাজ নানা অজুহাতে বিলম্ব করা হচ্ছে।

এ ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদই সেখানকার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার কথা ছিল। প্রয়োজনীয় বাজেট না দেওয়া, লোকবল না থাকায় এই পরিষদ যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, মানবাধিকার কর্মী ও মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, রিব নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, এইচডিআরসির উপদেষ্টা ড. আবুল বারকাত, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা প্রমুখ।