বিএনপির সমাবেশের দিকে ইঙ্গিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল এক বিবৃতিতে বলেছে, কিছুদিন ধরে একটি মহল দেশে বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বিজয়ের মাসের মর্যাদাকে অসম্মানিত করার জন্য ৭১-এর পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা নানাবিধ অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের নেতারা বলেন, একটি রাজনৈতিক দল ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় জনসভার কর্মসূচি দিয়েছে। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল। এ দিনে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যুদ্ধাংদেহী পরিস্থিতি তৈরি ৭১-এর নৃশংসতাকে মনে করিয়ে দেয়।

নীল দলের আহ্বায়ক আবদুছ সামাদ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিম ও আকরাম হোসেন সাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার সরকার টানা তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। অপরপক্ষে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ২০১৪ সালে ২০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যার জন্য দায়ী একটি মহলের নেতিবাচক রাজনীতি, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা, অগ্নিসন্ত্রাস, হরতাল-ধর্মঘট আর জ্বালাও পোড়াও এর মত জাতি-বিধ্বংসী ভাবমূর্তির বাইরে আগামী নির্বাচনে জনগণের কাছে উপস্থাপনের মত রাজনৈতিক পুঁজি তাদের হাতে নেই। তাই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে সরকার উৎখাতের জন্য এই মহল অপতৎপরতা শুরল্ফম্ন করেছে। প্রকাশ্যে গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের হুমকিও তারা প্রদান করছে যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

নীল দলের নেতারা বলেন, 'আমরা আশা করি সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং বিধ্বংসী রাজনীতির পথ পরিহার করে সুষ্ঠ্যধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে। জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিধান অনুযায়ী কর্মসূচি পালনের অধিকার ভোগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। অন্যথায় গণতান্ত্রিক ধারা বাধাগ্রস্টত্ম হলে তা কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।'