সরকারি চাকরি (সংশোধন), আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি জাতীয় সংসদে পাস হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়েও অর্থ বিভাগের সম্মতি লাগবে।

সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরি আইন পাস করা হয়। কিন্তু তাতে একটি বিষয় অস্পষ্ট ছিল। সেটি হলো, সরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়ের কতৃর্পক্ষ ছিল অর্থ বিভাগ। কিন্তু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা লেজিসলেটিভ সংস্থা, যেমন দুর্নীতি দমশন কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়টি পরিষ্কার ছিল না। এ জন্য অর্থ বিভাগ থেকে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা লেজিসলেটিভ সংস্থার আর্থিক বিষয়েও অর্থ বিভাগের একটি কর্তৃত্ব থাকবে। কোনো প্রতিষ্ঠান নিজের মতো করে বেতন ভাতা ঠিক করে নিলে তা হবে না। অর্থাৎ যেকোনো অর্থনৈতিক বিষয়ে অর্থ বিভাগের ছাড় নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এর মধ্যে পড়বে। তিনি বলেন, এগুলো আগেও ছিল। কিন্তু এই আইন হওয়ার পর বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল।

এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সার্বিক সাইবার নিরাপত্তা আরও বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে আরও জোর দিতে বলা হয়েছে। আমরা গত দুই-তিন বছর থেকেই সাইবার নিরাপত্তার (বিষয়) দেখছিলাম। এক্ষেত্রে আরও মডার্ন ইকুইপমেন্ট ইউজ করার জন্য... অনেকেরই যাতে কোনোভাবেই ওয়েবসাইট বা ইসে বাইরে থেকে হ্যাক করা না যায়। আমি রিসেন্টলি আমেরিকাতে ছিলাম। ওইখানেও দেখলাম দুই-তিনটি বড় বড় অফিসে হ্যাক হয়ে গেছে। সেজন্য আমাদেরও আর একটু যেন কমফোর্ট থাকে, বিশেষ করে আমরা এখন আস্তে আস্তে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের দিকে যাচ্ছি। ওগুলোতেও যাতে একটু ভালো করে নিরাপত্তা থাকে, সেজন্য।'

তিনি বলেন, 'এছাড়া ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের নিরাপত্তা বাড়ানো ও সাবমেরিন কেবল ইস্যুতেও নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।'