জাতীয় কর্মসূচির আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কার্যালয়গুলোকে মহান বিজয় দিবস পালনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরাধীন অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসূচি পালন করতে হবে। উদযাপনের অংশ হিসেবে ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সব অফিস এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে। সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা ডিজাইন অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উল্লেখযোগ্য উক্তি/উদ্ধৃতি ও ছবি, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি সংবলিত ড্রপডাউন ব্যানার প্রদর্শন করবে।

এতে আরও বলা হয়, দেশের সব জেলা ও উপজেলা সদরে অনুষ্ঠেয় কুচকাওয়াজে স্কুল, কলেজ, স্কাউটস, রোভার স্কাউটস, গার্লস গাইড ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ দিন সুবিধাজনক সময়ে ক্রীড়ানুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, নৌকা বাইচ (যেখানে সম্ভব), ফুটবল, কাবাডি ও হা-ডু-ডু খেলার মধ্যে যেটি সুবিধাজনক তা আয়োজন করবে। ১৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে তাদের কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখযোগ্য স্মৃতি শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সব দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

এ ছাড়া ৯০ জন শিক্ষার্থীকে জাতীয়ভাবে পুরস্কার দেওয়া হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যেকোনো একটি বিষয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে তাদের অঙ্গীকার কিংবা অভিজ্ঞতা লিখবে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রতি গ্রুপের নির্বাচিত একটি সেরা লেখা আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে 16decemberdshe@gmail.com-এই ই-মেইলে পাঠাবে। প্রতি গ্রুপ থেকে ৩০ জন করে ৯০ শিক্ষার্থীকে জাতীয়ভাবে পুরস্কার দেওয়া হবে।