রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও বিভিন্ন জেলায় নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় প্রায় এক হাজার নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পৃথক পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম এবং বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তাদের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। একইসঙ্গে তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করেন আদালত।

আদালতে নেতাকর্মীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নাল আবেদিন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী কামরুল ইসলাম সজল, সগির হোসেন লিওন প্রমুখ।

জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম হোসেন মুন্না, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আহবায়ক গোলাম মওলা শাহীন, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, যুবদল নেতা এনামুল হক, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

আইনজীবীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক মামলায় এবং ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলার নাশকতার মামলায় হাইকোর্টের দুটি পৃথক বেঞ্চ বিএনপির এক হাজার নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন। ঢাকা, বরিশাল, নরসিংদী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও পিরোজপুরে দায়ের করা মামলায় এসব নেতাকর্মী জামিন পেয়েছেন। তাদের আগামী ৬ সপ্তাহ পরে নিজ নিজ জেলার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক চার থানায় চারটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় ৫৩০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়াও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলায় নাশকতার অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা করা হয়।