ঢাকার আকাশে ভোরের সূর্যের আলোকে বৃহস্পতিবার সকালে উঁকি মারার সুযোগ দেয়নি কুয়াশা। কুয়াশার চাদরে কয়েক হাত দূরের দৃশ্য দেখা দুরূহ হয়ে পড়ে। সকাল ৯টায়ও সূর্যের দেখা মেলেনি। রাজধানীতে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে পথ দেখায় হেডলাইট। আবহাওয়ার এই হাল কেবল রাজধানীতেই নয়, সারাদেশে চলছে। এতে একদিনের ব্যবধানে দেশের সব এলাকায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে এসেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি মাসেই দেখা দেবে শৈত্যপ্রবাহ। এতে তাপমাত্রা ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে।

ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি বিমানের চারটি ফ্লাইট। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল চার ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, কুয়াশা আরও দু'দিন থাকতে পারে। এটি কেটে গেলে ঢাকায় শীত পড়বে। দেশের অন্যান্য এলাকায় শীতের তীব্রতা বাড়বে।

আবহাওয়াবিদ শাহিনুর ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আকাশ থেকে মেঘ সরে গেছে। ফলে শীতের বাতাস দ্রুত সারাদেশে আবার ছড়িয়ে পড়ছে।

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরবঙ্গ। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত কমছে তাপমাত্রা। উত্তরের অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি শীত জেঁকে বসেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায়। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে অনেক যানবাহনকে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ছিল রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের জেলা পঞ্চগড় ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। গত বুধবার থেকে রাতভর বৃষ্টির মতো টিপ টিপ করে ঝড়েছে কুয়াশা।

ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি বিমানের চারটি ফ্লাইট। দীর্ঘক্ষণ ঢাকার আকাশে চক্কর দিয়ে একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম ও তিনটি ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা বিঘ্নিত হয়। কুয়াশা খানিকটা কমে যাওয়ায় আড়াই ঘণ্টা পর সকাল ১০টায় ফ্লাইটের ওঠানামা শুরু হয়।

এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানান, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং আপাতত এ লঘুচাপের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না।