বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ)-সমকাল জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব ২০২২-এর ঢাকা বিভাগ-১-এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চাঁদপুরের বাবুরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। রানার্সআপ হয়েছে মাদারীপুরের রাজৈর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। সেরা বক্তার গৌরব অর্জন করেছে চ্যাম্পিয়ন দলের উম্মে হাবিবা। এর আগে বিভাগীয় সেমিফাইনালে আরও অংশ নেয় ফরিদপুর জিলা স্কুল ও মানিকগঞ্জের কানিজ ফাতেমা গার্লস স্কুল।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর পান্থপথে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এনআইএসটি) অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগ-১-এর সেরা দল বাছাই করা হয়। বিতর্কে অংশ নেয় ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার চ্যাম্পিয়ন দল। বিএফএফ-সমকাল সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে এ উৎসবের সহায়তায় আছে পূবালী ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগ-১-এর উৎসব উদ্বোধন করেন সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান। অতিথি ছিলেন বিএফএফের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, এনআইএসটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফয়েজ হোসেন এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমকাল সুহৃদ সমাবেশের বিভাগীয় প্রধান আসাদুজ্জামান। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটির সহকারী পরিচালক মজিবুর রহমান খোকন ও বিচারকরা।

আবু সাঈদ খান বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে গড়ে উঠতে এবং যুক্তিনির্ভর হতে হবে। এ দুটি বিষয় একজন আধুনিক মানুষের বৈশিষ্ট্য। এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে এ বৈশিষ্ট্য আছে। এখানে বিতার্কিকরা যুক্তি দিয়ে কথা বলছে। তারা গায়ের জোরে নয়, তথ্য ও মেধা দিয়েই লড়াই করছে। এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।’ 

আবু সাঈদ খান আরও বলেন, ‘বিতর্ক একটি আন্দোলন ও উৎসব। এর মধ্য দিয়ে আমরা একটি বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ গড়ে তুলতে পারব। স্বাধীন বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা বড় চ্যালেঞ্জ। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ অর্জনে বিজ্ঞানমনস্ক ও যুক্তিনির্ভর জাতি গড়তে হবে। আমাদের প্রজন্ম বৈজ্ঞানিক চেতনায় গড়ে উঠবে- এ জন্য একটি আন্দোলন দরকার। ৬৪ জেলাজুড়ে এ আন্দোলন চলছে। সমকাল মনে করে, এটি তার সমাজিক দায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। বিএফএফ ও পূবালী ব্যাংক এ কাজে আমাদের সহায়তা করেছে। আমরা যা পারিনি, নতুন প্রজন্ম তা পারবে। লাল-সবুজের পতাকাকে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে তুলে ধরবে নতুন প্রজন্ম।’

সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানশিক্ষায় আগ্রহী ও জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কাজ করছি। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের বিজ্ঞানকে এগিয়ে নেবে। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়তে হলে তৃণমূল পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে। বিতর্ক মানেই যুক্তি, বিজ্ঞানে মুক্তি- এ বোধ ছড়িয়ে দিতেই বিএফএফ-সমকাল স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব আয়োজন করছে।’

এর আগে বুধবার ঢাকা-২ বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় দিনভর যুক্তির লড়াইয়ে নিজ নিজ জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসা সেরা আটটি স্কুল চূড়ান্ত পর্বে ওঠে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল, সেনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, রাজবাড়ী ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ এবং রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ।

বিষয় : বিএফএফ-সমকাল বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব

মন্তব্য করুন