মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বুধবার রাজধানীতে এক আয়োজনে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেও এটিকে তাঁর নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে দেখছে না সরকার।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, শাহীনবাগে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে হওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাকে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কের অবনতি ঘটার কোনো আশঙ্কা নেই।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বুধবার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার) ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ভিদান্ত প্যাটেল বলেছেন, 'ঢাকায় রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা ১৪ ডিসেম্বর একটি বৈঠক দ্রুত শেষ করেছেন, নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে। আমরা আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে জানিয়েছি।' তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত হিসেবে মানবাধিকারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যখন স্বাধীন গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের স্থান সংকুচিত হয়, তখন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান উপাদান হিসেবে মানবাধিকারের বিষয়টি বাংলাদেশের সংশ্নিষ্টদের কাছে তুলে ধরা হয়।

বুধবার সকালে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে 'মায়ের ডাক' সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ২০১৩ সালে নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তবে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেন 'মায়ের কান্না' নামে আরেকটি সংগঠনের সদস্যরা। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে ঘটনাস্থলে তাঁরা স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে কিছুটা ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে মায়ের ডাকের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে বের হয়ে যান মার্কিন দূত। এরপর দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান তিনি।

আজ পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক তো অনেক দিনের পুরোনো। বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। সুতরাং, একটা ঘটনা বা এ ধরনের আচরণে সেই সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলবে- বিষয়টি এ রকম নয়। ওই রকম কোনো সম্ভাবনা আমরা দেখি না।