দেশবিরোধী ধারাবাহিক অপপ্রচার ও অপতৎপরতার বিষয়ে সতর্ক থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ২১ বিশিষ্ট নাগরিক। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তাঁরা।

এতে বলা হয়, সম্প্র্রতি কাতারের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে, যাতে ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেন। তাঁর সাক্ষাৎকার বিশ্নেষণে দেখা যায়, মানবাধিকার ইস্যু পুঁজি করে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। অতীতে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াতের পক্ষে আইনজীবী হয়ে কাজ করেছেন। জামায়াত নেতাদের রক্ষায় ২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয় যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট ফার্ম ক্যাসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে। সে সময় থেকেই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এ লবিস্ট গোষ্ঠী।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পক্ষ নিয়ে লবিস্ট গোষ্ঠীর এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই আমরা। একই সঙ্গে মানবাধিকার বিষয়ে সরকারের কোনো কার্যক্রম নিয়ে যেন এ অপশক্তি সুযোগ সৃষ্টি না করতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

বিবৃতিদাতারা হলেন- পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ডা. সারওয়ার আলী, রামেন্দু মজুমদার, রাশেদা কে চৌধুরী, নুর মোহাম্মদ তালুকদার, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, খুশী কবির, ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, এম এম আকাশ, অধ্যাপক শফী আহমেদ, রানা দাশগুপ্ত, রোবায়েত ফেরদৌস, সালেহ আহমেদ, জাহিদুল বারী, পারভেজ হাসেম, সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, রঞ্জিত কুমার সাহা, জোবাইদা নাসরিন, এ কে আজাদ, আবদুল ওয়াহেদ ও জহিরুল ইসলাম।