সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে বিগত ১০ বছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

তিনি বলেন, মাছের রাজা ইলিশ বাঙালির এক আবেগের নাম। ইলিশ বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখের উৎসব ইলিশ ছাড়া চলেই না। ধর্ম, বর্ণ, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই পান্তা ভাত ও ইলিশ উৎসবে মেতে উঠে। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় ইলিশ প্রত্যেক বাঙালির রসনা তৃপ্তির রসদ। 

আজ শনিবার বিকালে প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর দিলকুশার একটি হোটেলে ‘পদক্ষেপ বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব ২০২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জামদানিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ২০১৬ সালে ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন বাংলাদেশের ইলিশকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইলিশের স্বত্ব শুধুই বাংলাদেশের। জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশের স্বীকৃতি আমাদের জন্য সত্যিই গৌরবের।

পদক্ষেপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি বাদল চৌধুরীর সভাপতিত্বে উৎসব উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট কবি অসীম সাহা, জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জি. কে. বাবুল, ভারতের কলকাতার কবি কাজল চক্রবর্তী, আগরতলার কবি সংগীতা দেওয়ানজী ও নন্দিতা ভট্টাচার্য। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কবি বিমল গুহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পদক্ষেপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুন নিসা। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।