বার্ষিক কর্মসম্পাদন, শুদ্ধাচার ও উদ্ভাবনে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। ২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে দক্ষতার জন্য তিন সংস্থা, শুদ্ধাচারে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে জ্বালানি খাতে বিশেষ অবদান/উদ্ভাবনের জন্য দুই প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কার প্রদান করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, ‘সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে জ্বালানি খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জ্বালানি খাতকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে কাজ করতে হয়। টিম ওয়ার্ক, পরিশ্রম এবং একাগ্রতা থাকলে যে কোন কাজেই সাফল্য আসে। এই পুরস্কার পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উজ্জ্বীবিত করবে। সেইসাথে অন্য কর্মকর্তাদের মাঝেও ইতিবাচক প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।’  

২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে দক্ষতার জন্য পেট্রোবাংলা, হাইড্রোকার্বন ইউনিট এবং ভূতাত্বিক জরিপ অধিদপ্তকে (জিএসবি) পুরুস্কার দেওয়া হয়েছে। শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন পেট্রোবাংলার সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান (পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন) নাজমুল আহসান। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২য়-৯ম গ্রেডের উপসচিব (পরিকল্পনা-১) শাকিল আহমেদ,  ১০-১৬ গ্রেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম আজাদ এবং ১৭-২০তম গ্রেডের অফিস সহায়ক বেগম আজিজুন নাহারকে ২০২১-২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়। 

এছাড়াও ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জ্বালানি খাতে বিশেষ অবদান/উদ্ভাবনের জন্য প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি (ইআরএল)।