ভুয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শতাধিক তরুণ-তরুণীকে চাকরির প্রলোভন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে খুলনায় প্রতারণা চক্রের মূল হোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

তারা 'অগ্নি প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড' নামে ভুয়া একটি প্রতিষ্ঠান চালাতেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে লোকজনকে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।

রোববার সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৬ খুলনার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সারোয়ার হোসেন এসব তথ্য জানান।

এর আগে গত শনিবার রাত ৮টার দিকে র‌্যাব-৬ খুলনার আভিযানিক দল নগরীর সোনাডাঙ্গা হাফিজনগর এলাকায় এনএইচ টাওয়ারের ছয় তলায় অগ্নি কোম্পানি লিমিটেডের অফিসে অভিযান চালায় এবং চক্রের মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ভুক্তভোগীদরে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- চক্রের মূলহোতা যশোরের অভয়নগরের সৈয়দ তানভীর আহম্মেদ, খুলনার দিঘলিয়ার সাহাবুদ্দিন, ঝালকাঠি রাজাপুরের সোহেল মিয়া, বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার হাড়িদাহ গ্রামের রেজাউল করিম, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার জাদরপুরের জাহিনুর ইসলাম, নগরীর বয়রা এলাকার জহিরুল ইসলাম ও ঝালকাঠির রাজাপুরের নাহিদ জাহান জুঁই।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬ জানতে পারে খুলনা মহানগরীতে একটি প্রতারক চক্র ফেসবুকে চাকরির চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আভিযানিক দলটি জানতে পারে, প্রতারক চক্র বেশ কিছু তরুণ-তরুণীকে তাদের অফিসে আটকে রেখে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে।

ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য এবং গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রটি চাকরি দেওয়ার নামে অফিসে এনে ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাৎ করতো। তাদের ব্যবহার করে আরও তরুণ-তরুণীদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হতো।

আটকদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল, চারটি ল্যাপটপ, ৪০টি ভর্তি ফরম, ৪৫টি অঙ্গীকারনামা, একটি সিসি ক্যামেরার ডিভাইস, চারটি রেজিস্ট্রার এবং ৫৪ হাজার ২১০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর তাদের সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে।