অত্যাধুনিক বডি ওর্ন ক্যামেরা পেল হাইওয়ে পুলিশও
.
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ২৩:১১
সেবার মান উন্নয়ন, জবাবদিহি ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিতের লক্ষ্যে পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের মতো হাইওয়ে পুলিশেও যুক্ত হলো অত্যাধুনিক ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা লাইভ স্ট্রিমিং’। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন হাইওয়ে পুলিশের ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ অনলাইন নেটওয়ার্ক উদ্বোধন করেন। তিনি জানান, এরই মধ্যে সারাদেশে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে চার শতাধিক ক্যামেরা সরবরাহ করা হয়েছে।
এর আগে এদিন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পুলিশ অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে পুলিশ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ওই অনুষ্ঠানেই ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আইজিপি। গতকাল শুরু হওয়া হাইওয়ে পুলিশের এই বিশেষ সেবা সপ্তাহ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এশিয়ান হাইওয়ে করিডোরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ১০০টির বেশি ইকোনমিক জোন, বন্দরের সড়ক নিরাপদ রাখতে হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যা যা করা দরকার করব। কারণ, যাতায়াত ব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইউনিটটি। হাইওয়ে পুলিশ সক্ষমতার সঙ্গে কাজ করছে বলেই সড়ক নিরাপদ করতে পেরেছি। তবে সড়কে দু-একটি ঘটনা যে ঘটছে না, এমন নয়। খুব শিগগির সেই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারব।’
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘স্মার্ট পুলিশ গঠনের অংশ হিসেবে হাইওয়ে পুলিশের অ্যাপ ও বডি ওর্ন ক্যামেরা চালু হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে চলমান রয়েছে।’
নির্বাচনের আগে যারা নাশকতা করেছে, তাদের তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘অনেক সময় নাশকতার দায় পুলিশ ও সরকারের ওপর চাপিয়ে বিব্রত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ক্যামেরার মাধ্যমে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে নস্যাৎ করা হয়েছে অপচেষ্টা।’
পুলিশ সদস্যরা কে কী করছে, তা নজরদারির জন্য ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে কানেক্ট করে তাদের কার্যক্রম নজরদারি করা হচ্ছে। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স। পুলিশের কোনো সদস্য আইনের ব্যত্যয় ঘটালে বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লাহ নুরী ও হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।