ঢাবিতে আসন সংখ্যা আরও কমানোর ইঙ্গিত উপাচার্যের

ছবি- সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৭:৩১ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৮:২৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, ইতোমধ্যে আমরা স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির আসন সংখ্যা যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করব।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
ঢাবিতে ভর্তিতে আসন সংখ্যা বাড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, আমাদের দেশে পঞ্চাশের অধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ আছে। শিক্ষার্থীরা যারা উচ্চশিক্ষা নিতে চায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করছেন, যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে যারা ভর্তির সুযোগ না পাবে, তারা যেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, একটি মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা যখন বলা হবে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বিবেচনায় রেখে স্নাতক পর্যায়ে কতজন ভর্তি করা হবে সেটা নির্ধারণ করতে হবে।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিতে ১ হাজার ১১৩টি আসন কমিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রতুল বাজেট, আবাসন ব্যবস্থার তীব্র সংকট, ক্লাসরুম সংকট ও বর্তমান চাকরির বাজারে কিছু বিভাগের অপ্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় আসন সংখ্যা আরও কমানোর দাবি করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আসন আরও কমানোর ইঙ্গিত দিলেন।
কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজিত ও অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার ৫০টি আসনের জন্য ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬৭৯ জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৫৯টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ১১০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭টি বিভাগীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ হাজার ৫৬৯ আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এ বছর প্রতিটি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ দশমিক ৮৮ জন।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজব নিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপপ্রচারকারীদের বিষয়ে কিছু খোঁজখবর পেয়েছেন। আশা করি, যারা এ কাজগুলো করছে তাদের ধরা সম্ভব হবে।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, আগামী বছর থেকে এসব প্রতারক চক্রের বিষয়ে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব। কেউ যদি এগুলো করে তাহলে তাকে আগেই ধরার ব্যবস্থা রাখা হবে।