আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একটা গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রের শেকড় মজবুত করতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। সংবিধানে যেভাবে নির্বাচনের কথা বলা আছে সেভাবেই সঠিক সময়ে আগামী নির্বাচন হবে।

আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

আনিসুল হক বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে যারা বলছেন, অতীতে রোজ মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে সে কথা তারা বলেন না। তাদের বক্তব্য কতটা বিশ্বাসযোগ্য? 

তিনি বলেন, এই সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আশা করব, ৫ বছর পর যে নির্বাচন হবে তখন সব দল নির্বাচনে অংশ নিবে। বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব অঙ্গীকার করা হয়েছিল জনগণের কাছে, তারমধ্যে যেগুলো এখনো পূরণ হয়নি সেগুলো পূরণ করা।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় সাফল্য নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু। গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু এবং ২৮ ডিসেম্বর ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হয়েছে। আরও অনেক উন্নয়ন প্রকল্প এ বছর শেষ হওয়ার কথা, আমরা সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে সেসব প্রকল্প শেষ করব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সময় মতো উন্নয়নকাজ শেষ করাও চ্যালেঞ্জ হয়। আমরা কোভিড থেকে ওঠার চেষ্টা করছি। এখনো শোনা যাচ্ছে, চীনে আরও কোভিড রোগী আছে। আরেকটা কারণ হচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এগুলোর প্রভাব কাটিয়ে উঠে যেসব প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি আমরা জনগণকে দিয়েছিলাম, সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা চ্যালেঞ্জ।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগে কোনো বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। সামগ্রিকভাবে আমরা চেষ্টা করছি, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার জন্য। 

এ সময় আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগরে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।