- বাংলাদেশ
- '৯ বছরের কম বয়সী শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু বেড়েছে ৮%'
'৯ বছরের কম বয়সী শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু বেড়েছে ৮%'

প্রতিকী ছবি
দেশে ২০২২ সালে পানিতে ডুবে ৯ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহার বেড়েছে। এ সময় পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮১ শতাংশের বয়স ছিল ৯ বছরের কম। আগের বছরের তুলনায় এ হার ৮ শতাংশ বেশি। হতভাগ্য এসব শিশুর ৬১ শতাংশ চতুর্থ জন্মদিনের আগেই মারা গেছে।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগবিষয়ক প্রতিষ্ঠান সমষ্টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পায়। রোববার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তা তুলে ধরা হয়।
গত ১২ মাসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত পানিতে ডুবে ১ হাজার ১৩০টি মৃত্যুর ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২০ ও ২০২১ সালে ৯ বছর বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুহার ছিল যথাক্রমে ৬৫ শতাংশ ও ৭৩ শতাংশ। এ দুই বছরে যথাক্রমে ৮০৭ ও ১ হাজার ৩৪৭টি মৃত্যু হয়। ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ ২৮২ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এ ছাড়া রংপুর বিভাগে ১৬০, ঢাকায় ১৪৯, বরিশালে ১৩১, রাজশাহীতে ১১০, ময়মনসিংহে ১০৪, খুলনায় ১০৩ ও সিলেট বিভাগে ৯১ জন মারা যায়। গত ১ বছরের হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে আগস্ট মাসে। এ মাসে ১৬২ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এ ছাড়া জুন মাসে ১৪৩ জন এবং মে ও সেপ্টেম্বর মাসে ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৯০ জন কোনো না কোনোভাবে পানির সংস্পর্শে এসে ডুবে যায়। ১৪০ জন মারা যায় নৌযান দুর্ঘটনায়। পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নজরদারি না থাকায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পানিতে ডোবার ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ শিশু বড়দের অগোচরে বাড়িসংলগ্ন পুকুর বা অন্য জলাশয়ে চলে যায় এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়।
এ সময়ে ৪৯টি পরিবারের ৯৮ জন সদস্য পানিতে ডুবে মারা যায়। এর মধ্যে যমজ শিশু ছিল ১৪ জন। এ ছাড়া শিশুর সঙ্গে ভাই অথবা বোনসহ ৪২ জন, চাচাতো, মামাতো বা খালাতো ভাই বা বোনসহ ৪২ জন মারা যায়।
মন্তব্য করুন