ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, গ্রাহক সেবার নানা সূচকে গ্রামীণফোন উন্নতি করেছে। তাই গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠতে পারে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। 

আজ রোববার সন্ধ্যায় সমকালকে মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

সেবার মান ভালো না- এই যুক্তিতে গত ২৯ জুন গ্রামীণফোনের সব রকমের সিম বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি ১৩ লাখ পুরোনো সিম বিক্রির অনুমতি দেয় কমিশন। এই নির্দেশনার বিষয়ে ১৮ অক্টোবর বিটিআরসিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। পরে ৬ নভেম্বর পুরোনো সিম বিক্রির অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। 

গত ২০ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাহিদার প্রেক্ষিতে ৭৮ হাজার সিম বিক্রির অনুমতি পায় গ্রামীণফোন।

এরমধ্যে ২৫ নভেম্বর বিটিআরসিকে দেওয়া এক চিঠিতে সেবার মানোন্নয়নের শর্ত পূরণের কথা জানিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করে গ্রামীণফোন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে সেতুর আশপাশে নেটওয়ার্ক দুর্বলতার কারণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনায় বিটিআরসি গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞার দেয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো দাবি করে।

গত ৬ নভেম্বর বিটিআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংস্থাটির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিশেষ কারণে মন্ত্রণালয় থেকে একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কারণটি হচ্ছে, যেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়, সেদিন সেখানে নেটওয়ার্ক ভালো ছিল না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেটা প্রত্যক্ষ করেছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাদের সচিবকে ফোন করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এর আগেও প্রচুর অভিযোগ ছিল এবং এখনো আছে। সেবার মান খারাপ। এ ছাড়া আদালতে রিটও ছিল। এগুলো বিবেচনায় মন্ত্রী গ্রামীণফোনের নতুন সিম বিক্রি বন্ধের জন্য বলেছিলেন।

৮ নভেম্বর টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক ও রবি আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকেও বিটিআরসি চেয়ারম্যান একই কথা বলেন। দুই অনুষ্ঠানেই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। যদিও মন্ত্রী বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, কলড্রপসহ সেবার মান খারাপ হওয়ায় সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।