ইয়াসিন চৌধুরীর বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইয়াসিন চৌধুরীর বিদেশে চলে যাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রুল জারিসহ এ আদেশ দেন।

আগামী দুই মাসের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। রুলে ইয়াসিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্তে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

গত ৪ জানুয়ারি 'দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে ইয়াসিন' শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। রোববার ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসিন চৌধুরী। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকলেও তিনি দুবাইয়ে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন।

জানা গেছে, জাহাজ নির্মাণের চুক্তি করে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়েছেন ইয়াসিন চৌধুরী। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকেও ঋণ নিয়েছেন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের এই উদ্যোক্তা। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী জাহাজ নির্মাণ ও হস্তান্তর করেনি তার প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড। গ্রাহক ও ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া পুরো টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।