- বাংলাদেশ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
বিচারকের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব

আদালতের কার্যক্রম চলাকালে এজলাসেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ শারমিন নিগারের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বিচার বিঘ্নিত করার অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির সম্পাদকসহ ২১ আইনজীবীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট ২১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলসহ এই আদেশ দেন। ২১ আইনজীবীকে আগামী ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
২১ আইনজীবী হলেন- মফিজুর রহমান বাবুল, মিনহাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক হাদি, নিজামুদ্দিন খান রানা, আনিছুর রহমান মঞ্জু, মো. জুম্মন চৌধুরী, রাশেদ মিয়া হাজারী, জাহের আলী, মো. আ. আজিজ খান, দেওয়ান ইফতেখার রেজা রাসেল, মো. ছদর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রনি, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আরিফুল হক মাসুদ, মীর মোহাম্মদ রাইসুল আহম্মেদ, মহিবুর রহমান, মো. জাকারিয়া আহমেদ, মো. মোবারক উল্লা, মো. ফারুক আহমেদ সফিক আহমেদ ও ইকবাল হোসেন।
গত ৫ ও ৮ জানুয়ারি এজলাস চলাকালে কয়েকজন আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ শারমিন নিগারের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেন। এতে বিচারকাজ বিঘ্নিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিকার চেয়ে জেলা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর গতকাল সোমবার একটি চিঠি পাঠান। এরপর প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল অভিযোগ সংক্রান্ত আবেদন পর্যালোচনা করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে, গত ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ‘এজলাসে বিচারক ও কর্মচারীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের জন্য আদালত অবমাননার ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা’ শীর্ষক আরেকটি চিঠি পাঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক।
এ চিঠি প্রধান বিচারপতি বরাবর উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল। পরে বিষয়টি নিষ্পিত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। সে অনুসারে এই বেঞ্চে নথি উপস্থাপন করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে সভাপতি তানভীর ভূঁইঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী ও জুবায়ের ইসলামকে তলব করেন। আগামী ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন