- বাংলাদেশ
- মিয়ানমারের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হচ্ছে
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হচ্ছে

ফাইল ছবি
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে এ কথা জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার মধ্যরাতে আফ্রিকা যাওয়ার পথে ঢাকায় যাত্রাবিরতি করেন চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। এ সময়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যাত্রাবিরতিতে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন তাঁরা।
এ কে মোমেন বলেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ঢাকা সফর করলেন। এটি আমাদের জন্য ভালো খবর। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, মিয়ানমারে কিছু সমস্যা হচ্ছে, সে কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তাঁরা বলেছেন, এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা তাঁর কাছে একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন। এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তাদের সমস্যা থাকতে পারে, এটা তাদের মাথা ব্যথা। আমরা তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। কী কারণে তাদের অসুবিধা, সেটা আমাদের মাথা ব্যথা নয়। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এ নীতিতে বিশ্বাস করি।
প্রধানমন্ত্রীর ভারসাম্য নীতির কারণে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের দিকে নজর রয়েছে বলে মনে করছেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে। কেউ এগুলো হাতছাড়া করতে চান না। সে জন্য আসছেন, আমরাও চাই অধিক যোগাযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। সেই সম্পর্ককে আমরা আরও শক্ত করতে চাই।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়ন সহযোগী চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়কে সম্পৃক্ত থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভাবনীয় এবং চীনের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চায়। চীনের মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জোগান ব্যাহত, আর্থিক লেনদেনে সমস্যা এবং নতুন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল চীন। এটির এখনও গেজেট না হওয়ার কারণে আমাদের ব্যবসায়ীরা এর সুবিধা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে চীনের মন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এর ব্যবস্থা নেবেন।
মন্তব্য করুন