- বাংলাদেশ
- ডিসি সম্মেলনের রূপরেখা চূড়ান্ত
ডিসি সম্মেলনের রূপরেখা চূড়ান্ত
তিন দিনে অংশ নেবে ৫৬ মন্ত্রণালয়-বিভাগ

ফাইল ছবি
ডিসি সম্মেলনের অধিবেশনকেন্দ্রিক রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে তিন দিনব্যাপী ৬৪ জেলার ডিসিদের নিয়ে চলতি বছরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে সরকারের ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থার অংশগ্রহণ থাকছে।
প্রধানমন্ত্রী ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর ডিসিদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় বসবেন সরকারপ্রধান। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যঅধিবেশন শুরু হবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ডিসিরা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলে যাবেন। এখানে সম্মেলনের কার্যঅধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে প্রথম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে অংশ নেবে অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগ।
এদিন তৃতীয় অধিবেশনে অংশ নেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রথম দিনের শেষ অর্থাৎ চতুর্থ অধিবেশনে থাকবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
প্রথম দিনের কার্যঅধিবেশন শেষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন সব ডিসিসহ সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম কার্যঅধিবেশনে অংশ নেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এদিন দ্বিতীয় কার্যঅধিবেশন অংশ নেবে কৃষি, খাদ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তৃতীয় অধিবেশনে অংশ নেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। চতুর্থ অধিবেশনে থাকবে শিল্প, বাণিজ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। পঞ্চম অধিবেশনে অংশ নেবে দুর্নীতি দমন কমিশন।
ষষ্ঠ অধিবেশনে অংশ নেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেল মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় দিনের শেষ অর্থাৎ সপ্তম অধিবেশনে অংশ নেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন বিভাগ এবং পাবর্ত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর ডিসিরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। একই দিন সন্ধ্যায় ডিসিরা জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং নৈশভোজে অংশ নেবেন।
তৃতীয় ও শেষ কার্যদিবসের প্রথম অধিবেশনে অংশ নেবে প্রতিরক্ষা ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। দ্বিতীয় অধিবেশনে থাকবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এরপর তৃতীয় অধিবেশনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ; চতুর্থ অধিবেশন আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অংশ নেবে। পঞ্চম অধিবেশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ থাকবে।
ষষ্ঠ অধিবেশন জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অংশ নেবে। সপ্তম অধিবেশনে থাকবে ভূমি মন্ত্রণালয়। অষ্টম অধিবেশনে অংশ নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর ডিসিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বঙ্গভবনে যাবেন। সম্মেলনের শেষ অর্থাৎ নবম অধিবেশনটি পরিচালিত হবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে কেন্দ্র করে। এর মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যঅধিবেশনের সমাপ্তি ঘটবে। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সৌজন্যে নৈশভোজে অংশ নেবেন ডিসিরা। এর মাধ্যমে ডিসি সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে।
মন্তব্য করুন