চট্টগ্রামের ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় আসামি ডা. মাহবুবুল আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। প্রায় চার বছর পলাতক থেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ সালামত উল্ল্যাহর আদালত আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।

নিহত আকাশ চন্দনাইশ উপজেলার বরকল বাংলাবাজার এলাকার আবদুস সবুরের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি আবদুর রশিদ ও এপিপি আবদুল্লাহ আল বেলাল বলেন, মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর থেকে আসামি মাহবুবুল আলম পলাতক ছিলেন। আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জানা যায়, ২০০৯ সালে ডা. আকাশের সঙ্গে পরিচয় হয় মিতুর। ২০১৬ সালে বিয়ে হয় তাদের। এরপর থেকে তারা পরিবারসহ নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের ২ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কিছুদিন পর থেকেই তাদের সংসারে ঝামেলা শুরু হয়। একপর্যায়ে ডা. আকাশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও দিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সর্ম্পকের অবনতির ঘটনা তুলে ধরে একটি স্ট্যাটাস দেন। মৃত্যুর আগে ফেসবুকে তার সর্বশেষ স্ট্যাটাস ছিল ‘ভালো থেকো আমার ভালোবাসা তোমার প্রেমিকদের নিয়ে।’ এরপর ডা. আকাশ আত্মহত্যা করেন।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ ছয়জনকে আসামি করে নগরীর চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত ডা. আকাশের মা জোবেদা খানম। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- ভুক্তভোগীর স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার মা শামীম শেলী, বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা এবং মিতুর দুই ছেলে উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম। মিতু জামিনে থাকলেও অন্য আসামিরা পলাতক।