বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তৈরি পোশাক কারখানায় মধ্যম পর্যায়ে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরি হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে তাঁরা বেশ ভালো কাজ করছেন। এখন দেশেই পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি তৈরি হচ্ছে। বিদেশি ব্যবস্থাপকদের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হবে না। দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) কাজ করছে।

আজ বৃহস্পতিবার তুরাগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আয়োজিত তৈরি পোশাক খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরির উদ্দেশ্যে পরিচালিত বিইউএফটি-ইপিবির এক কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষ জনশক্তিই একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মূল চালিকাশক্তি। তৈরি পোশাক খাতে বিদেশি জনশক্তির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোই সরকারের উদ্দেশ্য। এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দক্ষ জনশক্তি তৈরির বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এ সকল দক্ষ জনশক্তিকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করে বাংলাদেশের পোশাক খাত বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহৎ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে রপ্তানির প্রায় ৮২ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় আমাদের তৈরি পোশাক খাতের ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে শুধু বিদেশি জনশক্তিই কাজ করত। এখন আমাদের দেশের অনেক দক্ষ জনশক্তি তৈরি হচ্ছে। পেশাগত কাজে তাঁরা বেশ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। এ কারণে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব হলে বিদেশি জনশক্তির প্রয়োজন হবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।

বিইউএফটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম। স্বাগত বক্তব্য দেন বিইউএফটির ভিসি অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান।