কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহের এ রায় দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক আল আমীন (২৭) এবং পাবনার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মন্ডলের ছেলে ইউসুফ আলী (২৮)। তারা দুজন কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদ্রাসা ইবনে মাসউদ’র শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় মিঠুন (২০) ও নাহিদ (২১) নামে দুই আসামি কারাগারে রয়েছেন। কুষ্টিয়া শিশু আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে তাদের মামলা। তারা একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুজনকে শনাক্ত করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা থেকে তাদের আটক করা হয়েছিল।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দীন কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪২৭/৩৪ ধারার মামলায় চার জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে মাদ্রাসার দুই ছাত্রের পাঁচ দিন এবং দুই শিক্ষকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ভাস্কর্য ভাঙচুর ঘটনার সঙ্গে দুই শিক্ষকের কোন যোগসূত্র পায়নি পুলিশ। 

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে আসামি ইউসুফ আলী (২৮) ও আল আমিনকে (২৮) অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় অপর দুই আসামি মিঠুন ও নাহিদ কারাগারে রয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে আসামিরা কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন। এ সময় আসামিরা ভাস্কর্যের হাত ও মুখমণ্ডল হাতুড়ি-লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলেন।