- বাংলাদেশ
- আইনজীবীদের সঙ্গে এক ঘণ্টা কথা বললেন বাবুল আক্তার
আইনজীবীদের সঙ্গে এক ঘণ্টা কথা বললেন বাবুল আক্তার

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। ফাইল ছবি।
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে পিবিআই পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানার দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আইনজীবীদের আবেদনের পর বাবুল আক্তারকে তার আইনজীবীদের সঙ্গে এক ঘণ্টা কথা বলার অনুমতি দেন আদালত।
আজ রোববার চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হালিমের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ বলেন, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। আমাদের আবেদনের শুনানি করে বাবুল আক্তারের সঙ্গে এক ঘণ্টা কথা বলার অনুমতি দেন। দুপুর সোয়া দুইটা থেকে এক ঘণ্টা বাবুল আক্তারের সঙ্গে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আইনজীবীরা আলাপ করেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বাবুল ছাড়াও প্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াস হোসাইন, বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মাহমুদা হত্যা মামলা নিয়ে আসামিরা ফেসবুক-ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে পিবিআই ও সংস্থাপ্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাবুল, হাবিবুর ও ওয়াদুদের যোগসাজশে বিদেশে থাকা ইলিয়াস মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন। ইলিয়াসের ভিডিও প্রকাশের পর পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল। তবে তার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এই মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পিবিআই। সেই মামলার আসামি হয়ে কারাগারে বন্দি রয়েছেন বাবুল। তিনি বর্তমানে ফেনী কারাগারে বন্দি।
মন্তব্য করুন