নারীদের সম্পৃক্ত করেই দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার নারীদের সম্পৃক্ত করেই বাংলাদেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। আমরা আরও এগিয়ে যাব। সেটা মাথায় রেখেই সব উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হচ্ছে। খবর বাসসের।

রোববার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের (এইউডব্লিউ) কাউন্সিল অব প্যাট্রনসের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর চেরি ব্লেয়ার। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

এইউডব্লিউ প্রতিনিধি দলকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এজন্য এইউডব্লিউকে এমন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে, যা শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলবে। শুধু সাধারণ শিক্ষা নয়, এমন শিক্ষা দিতে হবে, যা শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলবে, বেকার তৈরি করবে না।

আফগানিস্তানের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ইসলামের নামে নারীদের শিক্ষা বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। ইসলাম সর্বদা নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলে। বর্তমান আফগান সরকার জোর করে দেশটির নারী শিক্ষা বন্ধ করে দিচ্ছে। পুরো বিশ্ব এটি দেখেও এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সময় নারী নেতৃত্ব নিয়ে নিজে তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জনগণের উন্নয়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার রোহিঙ্গা শিশুদের নিজ ভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও এইউডব্লিউর উপাচার্য ড. রুবানা হক উপস্থিত ছিলেন।