নেত্রকোনা থেকে টিএসপি সার পাচারের সময় ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার চারজনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে তোলা হলেও শুনানি হয়নি। পরে বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল হাই রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাফটকে এক দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলার চাষিদের মধ্যে বিক্রির জন্য গত রোববার বিএডিসির গুদাম থেকে টিএসপি সার উত্তোলন করা হয়। এ সার পাচারের সময় গত সোমবার রাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন মোহাম্মদ আলী, চন্দন কুমার বিশ্বাস বিকাশ, রব্বানী ইসলাম ও জয়নাল সরকার। তাদের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়। পরে কোতোয়ালি থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

পুলিশ জানায়, নেত্রকোনার উপজেলা পর্যায়ের নির্ধারিত ২৮ ডিলারের অনুকূলে বিএডিসি গুদাম থেকে গত রোববার ৬০০ বস্তা টিএসপি সার উত্তোলন হয়। পরিবহন ঠিকাদার তোফাজ্জল হোসেন সার উত্তোলন করে নির্দিষ্ট ডিলারদের কাছে পৌঁছে না দিয়ে পাচারের চেষ্টা করেন।

ময়মনসিংহ গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, সার পাচারে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে তদন্ত চলছে।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, বিএডিসির গুদাম থেকে উপজেলা পর্যায়ে যেসব ডিলার সার নিয়েছেন, স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সেই মজুত মিলিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রতিবেদন দিলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।