বিবিসি’র তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ এর প্রদর্শন ঘিরে শুক্রবারের অশান্তির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রক্টর রজনী আব্বির নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিকে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ তদন্ত করে ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে উপাচার্য যোগেশ সিংহের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গা এবং সে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন হয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই প্রদর্শনীর আয়োজক ছিলেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। কিন্তু তথ্যচিত্রের প্রদর্শন শুরু হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে দিল্লি পুলিশ হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

তথ্যচিত্রের প্রদর্শন শুরু হওয়ার পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। ছবি-পিটিআই।

শুক্রবার বিকেল ৪টার সময় তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ঘোষণা করেছিল দলিত ছাত্র সংগঠন ভীম আর্মি স্টুডেন্টস ফেডারেশন। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর কিছু শিক্ষার্থীও ওই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু আর্টস ফ্যাকাল্টির ভেতর প্রদর্শন শুরুর আগেই পুলিশের পক্ষে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ক্যাম্পাসের বাইরে। গেটের বাইরে ছাত্রদের জমায়েত সরাতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে বলেও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ রয়েছে- ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং অন্তত ২৪ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে, বড় ধরনের অশান্তির আঁচ পেয়ে তাঁরাই ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকে। এর আগে মঙ্গলবার দিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাসেও ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন ঘিরে অশান্তি হয়েছিল। 

প্রসঙ্গত, দুই দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার