বাংলাদেশি বাবা ও জাপানি মায়ের দুই শিশু সন্তানকে মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। তবে সেই রায় উপেক্ষা করে আত্মগোপন করায় ছোট মেয়েসহ বাবা ইমরান শরিফকে হেফাজতে নিয়েছে র‌্যাব।

বুধবার ভোরে রাজধানীর কালাচাঁদপুরে আত্মগোপনে থাকা বাবা ইমরান শরিফকে ছোট মেয়েসহ উদ্ধার করা হয়।

জাপান থেকে আসা দুই কন্যাশিশুকে নিজ হেফাজতে চেয়ে বাবা ইমরান শরিফের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছিলেন ঢাকার পারিবারিক আদালত। গত রোববার দেওয়া ওই রায়ে দুই শিশুকে জাপানি মা নাকানো এরিকোর হেফাজতে রাখার আদেশ দেওয়া হয়। ওই রায়ের পর মেজ মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন বাবা ইমরান শরিফ।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আদালত রায় দিয়েছিলেন দুই শিশু তাদের মায়ের কাছে থাকবে। এরপর জাপানি মা মেজ মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান থানার অধীন কালাচাঁদপুর এলাকায় মেজ মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপন করা বাবা ইমরান শরিফকে উদ্ধার করে র‍্যাব। এরপর তাঁদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।

অন্যদিকে আদালতের রায় অমান্য করে জাপানি মা নাকানো এরিকোও দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে গতকাল রাতে বাংলাদেশ ত্যাগের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। 

নাকানো এরিকোর দেশ ছাড়ার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাঁকে ইমিগ্রেশন পুলিশ ফিরিয়ে দেয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগেও এই জাপানি মা তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে জাপানে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁদের ফিরিয়ে দেয়।