- বাংলাদেশ
- খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে প্রবিধানমালা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল মানববন্ধন
খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে প্রবিধানমালা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

ছবি: সংগৃহিত
‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণে প্রবিধানমালা- ২০২১’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন, শ্রেণি ও পেশার মানুষ। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মানববন্ধনে এ দাবি করা হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
ভার্চুয়াল মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা একযোগে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও পোস্টারসহ নিজেদের ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করেন।
মানববন্ধনে জানানো হয়, খাদ্যের মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগ এবং হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও), যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। সাধারণত বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত ও ভাজা পোড়া স্ন্যাক্স এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে ডালডা ব্যবহৃত হয়। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ট্রান্সফ্যাট এলিমিনেশন প্রতিবেদন অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের ৪৩টি দেশ ইতিমধ্যে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ‘সর্বোত্তম নীতি’ বাস্তবায়ন করলেও, বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা পাস করায় সরকারকে ধন্যবাদ। তবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এটি বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এক্ষেত্রে তেমন কোন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। প্রবিধানমালাটি বাস্তবায়নে যত দেরি হবে দেশে ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগ ঝুঁকি ও মৃত্যু ততই বাড়তে থাকবে।
মন্তব্য করুন