ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) লুৎফুস সালাম ও হাফিজুল্লা বসির ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে নগরীর শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ছাড়তে নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

ছাত্রাবাসগুলোর মেস চালানো নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধের জেরে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসনের এই ছাত্রাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবদমান দুটি পক্ষের একটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। অপরপক্ষটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে।

চমেক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রাবাসটির খাবারের মেস পরিচালনা করতেন নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা। কিছুদিন ধরে নওফেলের অনুসারীরা মেসের খাবার নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে ব্যবস্থাপনা পরিবর্তের দাবি জানান। এর জের ধরে গত বুধবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আসবাবপত্র ও কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে আবারও বাগবিতণ্ডায় জড়ায় দুই পক্ষ। এ সময় হাতাহাতি ও কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার সমকালকে বলেন, ‘মেস পরিচালনা নিয়ে বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল। এর জের ধরে আজ (বৃহস্পতিবার) আবারও বিবাদে জড়িয়ে পড়ে তারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ছাত্রাবাস দুটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আকিব নামে এক শিক্ষার্থীর মাথার খুলির হাড় ভেঙে যায়। ওই সময় একমাসের বেশি বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ।