- বাংলাদেশ
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রয়োজনে আবার জেগে উঠবে শাহবাগ
গণজাগরণ মঞ্চের দশক পূর্তিতে বক্তারা
ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রয়োজনে আবার জেগে উঠবে শাহবাগ

গণজাগরণ মঞ্চের দশক পূর্তিতে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ১০ বছর আগে গণজাগরণ মঞ্চ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ১০০ বছর পরও মানুষ এটাকে মনে রাখবে। কারণ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় যুদ্ধটা আমরা করেছি গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। তবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত এখনও আছে। চক্রান্ত মোকাবিলায় প্রয়োজনে আবার জেগে উঠবে শাহবাগ।
সভায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, এই শাহবাগ চত্বরে তরুণরা জেগে উঠেছিল। সেই আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হওয়ার যাত্রা শুরু করেছিল, সেই যাত্রা এখনও অব্যাহত আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে সব কাজ শেষ হয়ে যায়নি। যতদিন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িকতা দূর এবং অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন পূর্ণতা পাবে না।
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, এই শাহবাগে আমরা দিনরাত জেগে জেগে গান করেছি। মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার পতন চেয়েছি। প্রতিবাদী স্লোগান দিয়েছি। তবে খারাপ লাগে, গণজাগরণ আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার কারণে অনেককে হত্যা করা হয়েছে। সাতক্ষীরায় ১৬ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, সেটার এখনও বিচার হয়নি।
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক কামাল পাশা বলেন, ১০ বছর আগে গণজাগরণ মঞ্চ হয়েছিল, আরও ১০০ বছর পরও এটাকে মানুষ মনে রাখবে। কারণ, গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় যুদ্ধটা আমরা করেছি। তবে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্র আছে, চক্রান্ত আছে। এই চক্রান্ত যদি মোকাবিলা করতে হয়, এই শাহবাগ আবার জেগে উঠবে।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক আল আমিন বাবু, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মকবুল হোসেন। কবিতা আবৃত্তি করেন শাহাদাৎ হোসেন নিপু ও রবীন আহসান।
সংগঠনটির খান আসাদুজ্জামান মাসুম ও এফএম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা আব্দুল্লাহ আল-কাফি রতন, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সহসাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট কানিজ আকলিমা সুলতানা, গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক আরিফ জেবতিক ও লাকী।
মন্তব্য করুন