- বাংলাদেশ
- নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বরখাস্ত
নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বরখাস্ত

বিচারের দাবিতে শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: সমকাল
বরিশাল নার্সিং কলেজের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ওই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শাহিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটে এই ঘটনা ঘটে।
বরিশাল নার্সিং কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, নার্সিং কলেজের ছাত্রীকে সোমবার বেলা ১১টার দিকে মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় ডাক্তারের সহকারী চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ইফাদ সন্যামত ওই ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর পরিচয় পত্রের (আইডি কার্ড) ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় ইফাদ। এই ঘটনার বিচার দাবি করে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বেলা দেড়টা থেকে ২টা পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বিক্ষোভ করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘আমি চিকিৎসা নিতে মেডিসিন বিভাগে যাই। সেখানে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইফাদ সন্যামত আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, হাত ধরে টান দেন। আমার আইডি কার্ডের ছবি তুলে ফেসবুকে পোষ্ট করেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযুক্ত ইফাদ সন্যামতের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মৌখিক অভিযোগে ইফাদ সন্যামতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, আবাসিক চিকিৎসক ডা. মানবেন্দ্র সরকার ও ডা. নুরুন্নবী তুহিন।
মন্তব্য করুন