- বাংলাদেশ
- পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জে পাহাড় ও টিলা কাটার ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পাহাড় কাটা বন্ধে জনস্বার্থে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও নাছরিন সুলতানা। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম।
গত বছরের ১৯ জুলাই সমকালে 'কুলউড়ায় সরকারি টাকায় চা বাগানের টিলা কেটে রাস্তা তৈরির অভিযোগ' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করে পরিবেশ ও মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ওই আবেদনের শুনানি হয়।
সমকালের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কুলাউড়ায় লুয়াইউনি-হলিছড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই বাগানের টিলা কেটে জোর করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাগানের ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রশাসনের লোকজনও রাস্তার কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
চা বাগানটি উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে পড়েছে। সম্প্রতি বাগানের ভেতর দিয়ে এবং সীমানা ঘেঁষে কাবিখার বরাদ্দে প্রায় ১১ লাখ টাকায় একটি নতুন রাস্তা নির্মাণের অনুমোদন দেন কুলাউড়ার সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। এরপর বাগানের ভেতর কাজ শুরু করেন প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আপ্তাবসহ সংশ্নিষ্টরা। পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করেই খননযন্ত্র (এপক্যাভেটর) দিয়ে বেশ কয়েকটি উঁচু-নিচু টিলা কেটে মাটি ফেলে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রায় ১০ ফুট প্রস্থের নতুন রাস্তাটিতে মাটি ভরাট ও ইট সলিংয়ের কাজ চলছে।
হা-মীম গ্রুপের মালিকানাধীন বাগানের কর্মকর্তারা জানান, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যে কোনো সময় বাগানের ভেতর থেকে গাছ, মাটিসহ অনেক কিছু চুরি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
মন্তব্য করুন