নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরদিনই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি হাজি মো. সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরফান সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রাণনাথ।

এর আগে বুধবার একই আদালত এরফানসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরফান সেলিম আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মিজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন।

হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডি এলাকায় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো এমপি হাজী সেলিমের গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল রেখে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার এরফান সেলিম গাড়ি থেকে নেমে ওয়াসিফকে মারধর করেন। তখন গাড়িতে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরাও তাকে কিল-ঘুষি মারে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তার স্ত্রীকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মমিনুল হক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।