- বাংলাদেশ
- জয়নুল গ্যালারিতে শুরু 'জলরং যাত্রা'র প্রদর্শনী
জয়নুল গ্যালারিতে শুরু 'জলরং যাত্রা'র প্রদর্শনী
১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে প্রথম জলরং ব্যবহার করে ছবি আঁকা শুরু করেন শিল্পী রবিউল ইসলাম। এর পর ৩০ বছরে এঁকেছেন অসংখ্য ছবি। এসব ছবিতে তাঁর দেশ-বিদেশে ভ্রমণের দৃশ্যও উঠে এসেছে। এ রকম ৬৭টি চিত্র নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার চারুকলার জয়নুল আর্ট গ্যালারিতে 'জলরং যাত্রা' প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পী রফিকুন নবী। শিল্পী রবিউল ইসলাম এ প্রদর্শনীকে 'দীর্ঘ সময়ের জীবনদর্শন' বলে অভিহিত করেছেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রফিকুন নবী বলেন, অ্যাক্রিলিক রঙের আধিক্যে ভাটা পড়েছে জলরং আঁকায়। পানি আর রঙের সমন্বিত এই জলরং আর্টের প্রধান কুশলী ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এখন সবাই ছবি দেখেই আঁকেন। শিক্ষার্থীদের বাস্তবিকভাবে অনুভব করে সেটি জলরংয়ে রূপ দেওয়া শেখাতেন শিল্পাচার্য। বেশ সহজ নয় এই জলরং। কারণ ভুল হলে শোধরানো যায় না। তিনি বলেন, প্রথমেই যদি চিত্রে কাদা কাদা ভাব চলে আসে, তাহলে সে ছবি আর ভালো হবে না। ১০টা ছবি আঁকলে একটি ভালো হয়। সেখানে রবিউল ইসলামের প্রায় ছবিই জীবন্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, জীবনের সঙ্গে শিল্পীদের একটি সম্পর্ক আছে। কাজ গুছিয়ে করা, সুন্দরভাবে করা, বিশুদ্ধভাবে করার প্রভাব আছে। জলরঙে তাৎক্ষণিকতা, দ্রুততা এবং শুদ্ধভাবে কাজ করার বিষয় আছে। সেটি চিত্রগুলোতে লক্ষণীয়। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তাৎক্ষণিক এসব ছবি এঁকেছেন শিল্পী। 'জলরং যাত্রা' আসলে জীবনেরও যাত্রা।
শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য বলেন, একসময় চারুকলার সবাইকে জলরঙের পাঠ দেওয়া হতো। এখন নতুন শিক্ষাক্রমে বিভাজনে সেটি বাদ পড়েছে। জলরঙে পানিতে ভাসমানের চিত্র ফুটিয়ে তোলা অনেক নৈপুণ্যের ব্যাপার। চিত্রকর্মগুলোতেও পানি টল টল করছে- এমনটি লক্ষ্য করেছি।
শিল্পী রবিউল ইসলাম বলেন, দেশে চিত্রকলার চর্চা হয়। তবে জলরঙের চর্চা তেমন ছিল না। এখন ইন্টারনেটেই অনেক পাওয়া যায়। তাদের সময়ে এ রকম সুযোগ ছিল না। বরেণ্যদের মধ্যে জয়নুল আবেদিনসহ অনেকে করেছেন। তবে বর্তমানে চর্চার অভাবে হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থা হয়েছে। ১৯৯১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩০ বছরের সংগ্রহ এখানে প্রদর্শিত হয়েছে। এর থেকে শিক্ষার্থীরা উদ্বুদ্ব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রফিকুন নবী বলেন, অ্যাক্রিলিক রঙের আধিক্যে ভাটা পড়েছে জলরং আঁকায়। পানি আর রঙের সমন্বিত এই জলরং আর্টের প্রধান কুশলী ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এখন সবাই ছবি দেখেই আঁকেন। শিক্ষার্থীদের বাস্তবিকভাবে অনুভব করে সেটি জলরংয়ে রূপ দেওয়া শেখাতেন শিল্পাচার্য। বেশ সহজ নয় এই জলরং। কারণ ভুল হলে শোধরানো যায় না। তিনি বলেন, প্রথমেই যদি চিত্রে কাদা কাদা ভাব চলে আসে, তাহলে সে ছবি আর ভালো হবে না। ১০টা ছবি আঁকলে একটি ভালো হয়। সেখানে রবিউল ইসলামের প্রায় ছবিই জীবন্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, জীবনের সঙ্গে শিল্পীদের একটি সম্পর্ক আছে। কাজ গুছিয়ে করা, সুন্দরভাবে করা, বিশুদ্ধভাবে করার প্রভাব আছে। জলরঙে তাৎক্ষণিকতা, দ্রুততা এবং শুদ্ধভাবে কাজ করার বিষয় আছে। সেটি চিত্রগুলোতে লক্ষণীয়। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তাৎক্ষণিক এসব ছবি এঁকেছেন শিল্পী। 'জলরং যাত্রা' আসলে জীবনেরও যাত্রা।
শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য বলেন, একসময় চারুকলার সবাইকে জলরঙের পাঠ দেওয়া হতো। এখন নতুন শিক্ষাক্রমে বিভাজনে সেটি বাদ পড়েছে। জলরঙে পানিতে ভাসমানের চিত্র ফুটিয়ে তোলা অনেক নৈপুণ্যের ব্যাপার। চিত্রকর্মগুলোতেও পানি টল টল করছে- এমনটি লক্ষ্য করেছি।
শিল্পী রবিউল ইসলাম বলেন, দেশে চিত্রকলার চর্চা হয়। তবে জলরঙের চর্চা তেমন ছিল না। এখন ইন্টারনেটেই অনেক পাওয়া যায়। তাদের সময়ে এ রকম সুযোগ ছিল না। বরেণ্যদের মধ্যে জয়নুল আবেদিনসহ অনেকে করেছেন। তবে বর্তমানে চর্চার অভাবে হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থা হয়েছে। ১৯৯১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩০ বছরের সংগ্রহ এখানে প্রদর্শিত হয়েছে। এর থেকে শিক্ষার্থীরা উদ্বুদ্ব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন